শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষকদের নানা ধরনের দাবি রয়েছে। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সচেষ্ট রয়েছি। আর্থিক-সামাজিক নিশ্চয়তা না থাকলে একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী হবেন না। আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের মতো নিন্দনীয় ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো শিক্ষক প্রশ্নফাঁস করলে তার দায় গোটা শিক্ষক সমাজের ওপর বর্তায়। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস বন্ধ হলেও দু-একজন শিক্ষকের মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটছে। কেউ কেউ তাদের শিক্ষার্থীকে আরো ভালো করাতে অনৈতিক কাজে যুক্ত হন।
শিক্ষার্থীকে কোনো ধরনের অনৈতিক সুবিধা না দিতে শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ভালো শিক্ষার্থী মানে পাবলিক পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়া নয়, বরং নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করা।
ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষকরা আমাদের অনুপ্রেরণা দেবেন, আলোর দিশারী হবেন। সেসব নিয়ে আমাদের সন্তানরা আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত হবে। যিনি শেখাবেন তার সততা, আদর্শ, দর্শন ও সহমর্মিতা থাকতে হবে। আমাদের নতুন কারিকুলাম সেভাবেই তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বাস্তবতার আলোকে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরিবারের কোনো সন্তান হতাশাগ্রস্ত থাকলে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। হতাশা থেকে কোনো কোনো শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এ বিষয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক প্রমুখ।